নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট : মোবাইল বিল ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট(নগই) এর ফরিদপুর কার্যালয়ের মহা পরিচালক(ডিজি) এর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢালাও ভাবে অতিরিক্ত হারে মোবাইল বিল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহা পরিচালক(ডিজি) ২০১৫-২০১৯ অর্থ বছরে এক লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মোবাইল বিল বাবদ দেওয়ায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) এর ফরিদপুর কার্যালয়ের মহা পরিচালক (ডিজি) এর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢালাও ভাবে অতিরিক্ত হারে মোবাইল বিল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহা পরিচালক (ডিজি) ২০১৫-২০১৯ অর্থ বছরে এক লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা মোবাইল বিল বাবদ দেওয়ায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
‘নগই’ এর অতিরিক্ত বিল দেওয়ার বিষয়ে গৃহায়ণ ও ভৌত অডিটের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুরের মহা-পরিচালক(ডিজি) এর কার্যালয় থেকে ২০১৫-২০১৯ অর্থ বছরের মোবাইল বিল নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারের মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢালাওভাবে অতিরিক্ত হারে মোবাইল বিল পরিশোধ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন এক লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘৩ মে ২০০৯ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৫.১১১.০১১.১০.০০.০০৪.২০০৯-২৯৫ স্মারক এ বলা হয়, ‘সরকারি মোবাইল/সেলুলার টেলিফোন সংযোগ ও ব্যবহার নীতিমালা অনুসারে, অতিরিক্ত সচিব ও প্রাধিকারপ্রাপ্ত সমমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনের মাসিক ভাতা ৬০০(ছয়শত) টাকা ও উপসচিব ও প্রাধিকারপ্রাপ্ত সমমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনের মাসিক ভাতা ৪০০ (চারশত) টাকা হারে মোবাইল বিল প্রাপ্ত হবেন।’
কিন্ত সেই নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে টেলিফোন বা মোবাইল বিল দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ডিজি ‘সরকারি মোবাইল/সেলুলার টেলিফোন সংযোগ ও ব্যবহার নীতিমালা’ লঙ্ঘন করেছেন। আর এর ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
অডিট চলার সময় নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট(নগই) এর ডিজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মোবাইল বিল পরিশোধ করা হয়েছে।’
কিন্ত অডিট কমিটি জবাবটি আমলে না নিয়ে বলেছে, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট) এর জবাব গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে মোবাইল বিল প্রদানের কোন সুযোগ নেই।’
সেই সঙ্গে অডিট কমিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, ‘অতি সত্তর আপত্তিকৃত সমুদয় টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমাপূর্বক প্রমানক নিরীক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা আবশ্যক।’
এ বিষয়ে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট(নগই) এর ডিজি মো. আলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হয় প্রকৌশল নিউজের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, আমার যা জবাব তা দিয়ে দিয়েছি । এখন আর কোন জবাব নেই।
উল্লেখ্য, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট(নগই) এর বর্তমান মহা পরিচালক(ডিজি) মো. আলিম উদ্দিন ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগদান করেন। এর আগে, সেখানকার ডিজি ছিলেন অরুণ চন্দ্র মহত্তোন। তিনি ২০১৬ থেকে মো. আলিম উদ্দিন যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত ডিজি পদে বহাল ছিলেন।
প্রকৌশলনিউজ/এসআই